ন্যাভাল
আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং
(নৌযান
ও নৌযন্ত্র প্রকৌশল)
রোমাঞ্চকর
কাজ ও জীবনযাপনের প্রতি তরুণদের স্বভাবতই রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। নগরের যান্ত্রিক
জীবন ছেড়ে একটু জীবনের অন্য রকম ছোঁয়া পেতে অনেকেই পাড়ি জমান সাগরে, কেউ কেউ
জাহাজে জাহাজে ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেন।
রোমাঞ্চকর
এমন কিছুই যদি পেশা বা ক্যারিয়ার হয়ে ওঠে, তাহলে তো আর কথাই নেই। ন্যাভাল
আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং (নৌযান ও নৌযন্ত্র প্রকৌশল) সাগরের নীল রাজ্যেই
ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুযোগ করে দিতে পারে তরুণদের। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বেশ
কিছু প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
সরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ১৯৭১ সাল থেকে নৌযান ও নৌযন্ত্র বিভাগে উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়। দু বছর আগে, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের আওতাধীন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) নৌযান ও নৌযন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ চালু করা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন সায়েন্সে বিএসসি (সম্মান) ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ভর্তি-সংক্রান্ত তথ্য জানতে নিম্নোক্ত ওয়েবসাইটগুলোয় খোঁজ নেওয়া যেতে পারে:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ১৯৭১ সাল থেকে নৌযান ও নৌযন্ত্র বিভাগে উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়। দু বছর আগে, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের আওতাধীন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) নৌযান ও নৌযন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ চালু করা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন সায়েন্সে বিএসসি (সম্মান) ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ভর্তি-সংক্রান্ত তথ্য জানতে নিম্নোক্ত ওয়েবসাইটগুলোয় খোঁজ নেওয়া যেতে পারে:
বুয়েট: www.buet.ac.bd
এমআইএসটি:
www.mist.ac.bd
চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়: www.cu.ac.bd
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ও মেরিন ফিশারিজ একাডেমি
চট্টগ্রামে
অবস্থিত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এইচএসসি বা ও-লেভেল
ডিগ্রি লাভের পর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে ৩০০ জন শিক্ষার্থী আবাসিক
ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ার সুযোগ
পেয়ে থাকে। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার
ক্যাডেটের জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি। ১৯৮৯ সালে এটি সুইডেনের ‘ওয়ার্ল্ড
মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি’র
শাখার মর্যাদা লাভ করে।
বাংলাদেশ
মেরিন ফিশারিজ একাডেমিও চট্টগ্রামে অবস্থিত। এটি শিক্ষার্থীদের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং
ও মেরিন ফিশারিজের ওপর বিএসসি ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। নির্দিষ্ট ভর্তি
পরীক্ষাপদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিবছর ক্যাডেট হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায়
নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়। ভর্তি-সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে
ওয়েবসাইটে:
বাংলাদেশ
মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম: www.macademy.gov.bd
বাংলাদেশ
মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, চট্টগ্রাম:
www.mofl-mfabd.org
প্রাইভেট মেরিটাইম একাডেমি ও কলেজ
এ ছাড়া
ইউনাইটেড মেরিটাইম একাডেমি, কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজ, ওয়েস্টার্ন মেরিটাইম একাডেমি,
ইন্টারন্যাশনাল
মেরিটাইম একাডেমি, শাহ মেরিন বিজনেস ইনস্টিটিউট প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে মেরিন
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রয়েছে।
ইউনাইটেড
মেরিটাইম একাডেমি: www.uma.edu.bd
কেমব্রিজ
মেরিটাইম কলেজ: www.cmcollege.com
ওয়েস্ট ওয়ে
মেরিটাইম একাডেমি: www.wmabd.com
ওয়েস্টার্ন
মেরিটাইম একাডেমি: www.wma-bd.com
শাহ মেরিন
বিজনেস ইনস্টিটিউট: shahmbi.com
বাংলাদেশ
ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি: www.bimtbd.com
ইন্টারন্যাশনাল
মেরিটাইম একাডেমি: www.ima-maritime.com
কেন পড়বেন
নৌযান ও
নৌযন্ত্র কৌশল বা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং নৌযানের স্থাপত্যশৈলী, নির্মাণকৌশল, সব ধরনের
নৌযন্ত্রের গঠন, ক্রিয়াকৌশল ও নৌপথের সব খুঁটিনাটি দিক নিয়েই কাজ করে। বাংলাদেশের
তরুণদের জন্য এটি একটি অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র। এ ব্যাপারে কেমব্রিজ মেরিটাইম
কলেজের পরিচালক খোরশেদ আলমের কাছ থেকে জানা যায়, জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে ৯০ শতাংশ
মালামালই বিশ্ববাণিজ্যে পরিবাহিত হয় জাহাজের মাধ্যমে। দেশে ও বিদেশে তাই এ বিষয়ে
কাজের ক্ষেত্র অত্যন্ত বিস্তৃত। শিপবিল্ডিং, শিপ রিপেয়ারিং, শিপিং পরিবহনসহ এ খাতে
জাতিসংঘ এক হাজার ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো আয় করে থাকে। এর ২ শতাংশও যদি
বাংলাদেশ নিয়ে আসে, তাহলে নিঃসন্দেহে দেশীয় অর্থনীতি ও তরুণদের জন্য তা বিরাট
সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে।
এ ছাড়া
দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ, সেই সঙ্গে সাগরের নীল রাজ্যে রোমাঞ্চকর ও
বৈচিত্র্যময় এক ক্যারিয়ারের হাতছানিতে তরুণদের কাছে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার
গড়ার পছন্দনীয় ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি।
No comments:
Post a Comment