Friday, August 29, 2014

Admission Circular First Year Honours Session 2014-2015

Chittagong University of Engineering and Technology
Chittagong - 4349
Phone: 031-714946, 31-714911 ,Fax:031-714910
, Website
Admission Requirements
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদনের নূন্যতম যোগ্যতাঃ

ক) প্রার্থীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

খ) প্রার্থীকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫ এর স্কেলে কমপক্ষে গ্রেড পয়েন্ট ৪.০০ পেতে হবে। অথবা সমমানের পরীক্ষায় সমতুল্য নম্বর বা গ্রেড পেয়ে পাশ হতে হবে।

গ) প্রার্থীকে বাংলাদেশের কোন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বয়ারদ/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে সুধুমাএ ২০১৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজি বিষয়ের প্রত্যেকটিতে আলাদাভাবে কমপক্ষে "A-" গ্রেড (জিপি ৩.৫)পেয়ে পাশ করতে হবে এবং গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজিতে মোট গ্রেট পয়েন্ট ১৭.৫০ পেতে হবে।

অথবা

বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৪ সালের সমমানের পরীক্ষায় উক্ত বিষয়সমূহে কমপক্ষে সমতূল্য গ্রেড পেয়ে পাশ করতে হবে। বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মোট ১২ শিক্ষাবর্ষের অধ্যয়নকাল থাকলে দরখাস্ত করতে পারবে। উক্ত ক্ষেত্রে গ্রেড-এর সমতুল্য Numerical value এর মান সম্পর্কে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত সনদপত্র জমা দিতে হবে। অথবা GCE "O" লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে পাঁচটি পেপারে গড়ে "B" গ্রেড পেয়ে পাশ হতে হবে এবং GCE "A" লেভেল পরীক্ষায় পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত বিষয়ের প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে "B" গ্রেড পেয়ে পাশ হতে হবে। শুধুমাত্র ২০১৪ সালে "A" লেভেল পাশ করা ছাত্র/ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে।

ভর্তি পরীক্ষার নির্দিষ্ট ফি KHA গ্রুপের জন্য ৮০০/- টাকা
Subjects Under Kha Group
Mechanical Engineering, Urban & Regional Planning,
Apply Procedure
SMS পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়াঃ
ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের জন্য একটি টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল ফোন থেকে 16222 নম্বরে SMS করতে হবে।

ক)একটি টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল ফোনের মাধ্যমে Message অপসনে গিয়ে CUET লিখে, স্পেস দিয়ে HSC শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখে, স্পেস দিয়ে HSC পরীক্ষার রোল নম্বর লিখে, স্পেস দিয়ে HSC পাশের সাল লিখে, স্পেস দিয়ে SSC শিক্ষাবোর্ডেরনামের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখে, স্পেস দিয়ে SSC পরীক্ষার রোল নম্বর লিখে, স্পেস দিয়ে SSC পাশের সাল লিখে, স্পেস দিয়ে কাঙ্খিত গ্রুপ-এর কী ওয়ার্ডটি KA/KHA লিখে 16222 নাম্বারে Send করতে হবে।
উদাহরণঃ CUET DHA 123456 2014 CHI 102030 2012 KA | উদাহরণটি চট্টগ্রাম বোর্ড হতে SSC পাশ করা, ঢাকা বোর্ড হতে HSC পাশ করা এবং CUET এর KA গ্রুপের জন্য। এখানে 123456 এর জায়গায় আবেদনকারীর নিজের HSC পরীক্ষার রোল নম্বর, 2014 এর জায়গায় HSC পাশের সাল, 102030 এর জায়গায় HSC পরীক্ষার রোল নম্বর এবং 2012 এর জায়গায় SSC পাশের সাল লিখতে হবে।

বিভিন্ন বোর্ডের জন্য কী ওয়ার্ডসমূহ হলঃ সিলেট(SYL), বরিশাল(BAR), চট্রগ্রাম(CHI), কুমিল্লা(COM), ঢাকা(DHA), দিনাজপুর(DIN), যশোর(JES), রাজশাহী(REJ), মাদ্রাসা(MAD), এবং কারিগরী(VOC)।

খ)উপরের SMS টি পাঠানোর পর সকল তথ্য সঠিক হলে ফিরতি SMS এ আবেদনকারীর নাম ভর্তি পরীক্ষার ফি ও একটি PIN জানিয়ে সম্মতি চাওয়া হবে। তখন 16222 নম্বরে আরেকটি SMS পাঠিয়ে সম্মতি জানাতে হবে। সম্মতি জানানোর জন্য প্রথমে CUET লিখে, স্পেস দিয়ে, YES লিখে, স্পেস দিয়ে PIN লিখে, স্পেস দিয়ে আবেদনকারীর যোগাযোগের জন্য নিজের ব্যবহৃত যে কোন অপারেটর এর একটি মোবাইল নম্বর লিখে 1622 নম্বরে Send করতে হবে।
উদাহরণঃ CUET YES 87654321 01xxxxxxxxx ‌। এখানে 87654321 এর জায়গায় আবেদনকারীর নিজ PIN টি এবং 01xxxxxxxxx ‌এর জায়গায় আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর লিখতে হবে। উল্লেখ্য যে, সম্মতি জানিয়ে SMS পাঠালেই কেবল আবেদনকারীর মোবাইল ফোন থেকে ভর্তি পরীক্ষার ফি কেটে নেয়া হবে, অন্যথায় কোন ফি কাটা হবে না।

গ)আবেদনকারীর মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমান টাকা থাকলে তা থেকে ভর্তি পরীক্ষার নির্দিষ্ট ফি KA গ্রুপের জন্য ৭০০/- টাকা এবং KHA গ্রুপের জন্য ৮০০/- টাকা কেটে নিয়ে একটি ফিরতি SMS এর মাধ্যমে সাথে সাথেই একটি ফরম নম্বর জানিয়ে দেয়া হবে যা আবেদনকারীকে সংরক্ষণ করতে হবে। সকল আবেদনকারীর মধ্য থেকে HSC তে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজীতে প্রাপ্ত মোট জিপিএ এর ভিত্তিতে প্রথম ৬০০০(ছয় হাজার) জনকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে এবং তাদের সংরক্ষিত ফরম নম্বরের বিপরীতে একটি রোল নম্বর জানিয়ে দেয়া হবে (ওযেব সাইট ও SMS মাধ্যমে)। তবে, ৬০০০ তম স্থানে একাধিক প্রার্থী থাকলে ক্রমানুসারে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজিতে HSC তে প্রাপ্ত GPA এর ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। সেক্ষেত্রে HSC তে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজিতে একই GPA প্রাপ্ত ৬০০০ তম স্থানের সকল প্রার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।

ভর্তি পরীক্ষার সময় সদ্য তোলা দুই কপি সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির পিছনে ঐ রোল নম্বরটি লিখে নিয়ে আসতে হবে। ছবি ছাড়া কাউকেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া হবে না।

ঘ)উপজাতীয় কোটায় আবেদনকারীগণ উপরোক্ত SMS এর শেষে একটি অতিরিক্ত কী ওয়ার্ড(TIR)যুক্ত করবে।
উদাহরণঃ CUET DHA 123456 2014 CHI 102030 2012 KA TRI | এই উদাহরণ ক্রমিক নং (ক) এ বর্ণিত উদাহরণে শুধুমাত্র উপজাতীয় কোটার জন্য TRI সংযুক্ত করবে।
Special Notes
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
১) একটি টেলিটক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একাধিক আবেদন করা যাবে। তবে আবেদনের দ্বিতীয় ধাপে সম্মতি জানানো্র সময় যোগাযোগের জন্য আবেদঙ্কারীর নিজের ব্যবহ্রত (যে কোন অপারেটরের) একটি মোবাইল নম্বর দিতে হবে।

২) নিদিষ্ট তারিখ সময় সুচীর মধ্যে দিনের বা রাতের যে কন সময় এমনকি ছুটির দিনেও SMS এ আবেদন করা যাবে।

৩) একবার SMS করে আবেদন করে ফেললে তা প্রত্যাহার করা যাবে না এবং কোন টাকা ফেরত দেয়া যাবে না।

৪) ভর্তি পরীক্ষার দিন দুই কপি সত্যায়িত পাসপো্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙ্গিন ছবি ছাড়া কাউকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হবে না এবং কোন প্রবেশপএ ইস্যু করা হবে না।

৫) SMS পদ্ধতির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় কনোরুপ সমস্যার সম্মু্খীন হলে টেলিটকের কাস্টমার কেয়ার (১২১) এ যোগাযোগ করা যেতে পারে।

বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে পাশ করা এবং GCE "O"/"A" লেভেল পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীরা SMS এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে না। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট http://www.cuet.ac.bd অথবা http://180.211.172.99/admission থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নির্ধারিত ফি সভাপতি, ভর্তি কমিটি, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, সিইউইটি শাখা, চট্টগ্রাম এর অনুকুলে ডিমান্ড ড্রাফট/পে-অর্ডার আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করে রেজিস্ট্রার, চুয়েট, রাউজান, চট্টগ্রাম-৪৩৪৯ ঠিকানায় জমা দিতে হবে।

ভর্তি নির্দেশিকাঃ সকল পরীক্ষার্থী চুয়েট ওয়েবসাইট http://www.cuet.ac.bd অথবা http://180.211.172.99/admission হতে ভর্তি নির্দেশিকা ২০১৪-১৫ ডাউনলোড করে নিতে পারবে। ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লিখিত নিয়মাবলী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অনুসরণ করতে হবে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি/ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লেখ নেই, ভর্তি সংক্রান্ত এমন কোন তথ্য জানতে হলে রেজিস্ট্রার অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ভর্তি সংক্রান্ত নিয়ম নীতির যে কোন ধারা ও উপ-ধারার পরিবর্তন, সংশোধন, সংযোজন ও পুনঃসংযোজনের অধিকার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।
Important Dates
Application Start
Application End
Submission Start
Submission End
Eligible Candidate
Admission Test
Exam Time 10:00 AM
Result Date


More Circular of CUET
Unit Name Submission End Date
Ka Group 9th October, 2014
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------





                    Rajshahi University

Admission Circular First Year Honours Session 2014-2015



Khulna University of Engineering and Technology
 Admission Circular First Year Honours Session 2014-2015



Maulana Vasani University of Science and Technology
Admission Circular First Year Honours Session 2014-2015








Monday, January 20, 2014

Veterinary Science & Medicine

ভেটেরিনারি সায়েন্স ও মেডিসিন

ভেটেরিনারি সায়েন্স ও মেডিসিন বিষয়ে পড়ার মাধ্যমে পেশামুখী ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। দেশে ও বিদেশে সহজলভ্য চাকরির সুযোাগের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই এ বিষয়ে পড়তে আগ্রহী হচ্ছেন।

চাকরিক্ষেত্রে চাহিদা


পশুচিকিৎসা বা ভেটেরিনারি সায়েন্সের বাংলাদেশে বর্তমানে ভালো চাহিদা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও রয়েছে উচ্চতর গবেষণার সুযোগ। এ ব্যাপারে কথা হলো চিটাগং ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সুমধু চক্রবর্তীর সঙ্গে। তিনি জানান, বর্তমানে চাকরির বাজারে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে ভেটেরিনারি সায়েন্স ও মেডিসিনের স্নাতকদের। বাংলাদেশে কৃষি-সংক্রান্ত ফার্মগুলো এ বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের প্রধান কর্মক্ষেত্র। বিভিন্ন এনজিও, যারা পশুচিকিৎসা ও প্রাণীদের নিয়ে কাজ করছে, সেখানেও শিক্ষার্থীদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বড় বড় পোলট্রি ও ডেইরি ফার্ম এবং ভেটেরিনারি অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও ভেটেরিনারি সায়েন্স গ্র্যাজুয়েটদের একচ্ছত্র আধিপত্য।

কী ধরনের কোর্স


ভেটেরিনারি সায়েন্স ও মেডিসিনের কোর্সগুলো সাধারণত পাঁচ বছরের হয়ে থাকে। এতে মেডিসিন-সম্পর্কিত বিশেষায়িত কোর্স ও চিকিৎসাবিজ্ঞান-সংক্রান্ত কিছু কোর্সের সঙ্গে পশু-পাখির চিকিৎসার খুঁটিনাটি সব দিকই পড়ানো হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদ ও চিটাগং ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে অ্যানাটমি, প্যাথলজি, ফিজিওলজি, সার্জারি ইত্যাদি বেশ কিছু বিভাগে পড়ার সুযোগ। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স তো পড়ানো হয়ে থাকে। ডিগ্রি লাভের পর ইন্টার্নশিপের সুযোগও রয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই।



কোথায় পড়বেন


চট্টগ্রামের চিটাগং ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটি ও চারটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশে মোট আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদ বা বিভাগ রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে রয়েছে ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পটুয়াখালী ও হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদ রয়েছে। এ ছাড়া ঝিনাইদহে রয়েছে ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ

EEE



ট্রিপল-ই

সাম্প্রতিক সময়ে প্রকৌশলের বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় বিষয় হয়ে উঠেছে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, সাধারনের কাছে যা ট্রিপল-ই নামে পরিচিত। সব সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তো বটেই, এখন এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ প্রসারিত হয়েছে বেশ কটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও।

কাজের ক্ষেত্র

ইলেকট্রনিকসের বিপ্লবের এই যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এমন কোনো কাজ পাওয়া যাবে না, যেখানে তড়িৎ প্রকৌশলীর প্রয়োজন নেই। সাধারণ বিদ্যুৎ, গ্যাস বা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে শুরু করে টেলিকমিউনিকেশন বা কম্পিউটার ফার্ম
দেশে-বিদেশে কোথায় নেই দক্ষ তড়িৎ প্রকৌশলীর চাহিদা। বিদেশি কোম্পানিগুলোর কথা যদি বাদও দেওয়া হয়, শুধু বাংলাদেশেরই একটি টেলিকম কোম্পানিতে পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রকৌশলী কর্মরত আছেন। অনেকে তড়িৎ প্রকৌশলী হওয়ার পর প্রোগ্রামার বা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেও কাজ করে থাকেন বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিতে। মূল কথা, তড়িৎ প্রকৌশলের আলোচনা ও পড়ালেখার ক্ষেত্র বিস্তৃত হওয়ায় কাজের ক্ষেত্রটিও তাই বেশ বিশাল। তাই দেশে বা বিদেশে সবখানেই একজন দক্ষ তড়িৎ প্রকৌশলী চাকরিক্ষেত্রে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি।
কোথায় পড়ব
অনেকগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রিপল-ই পড়ার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি), আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়েই চলতি ভর্তি মৌসুমে পরবর্তী সেমিস্টারের জন্য পরীক্ষা বা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল থেকে তৈরি মেধাতালিকার মাধ্যমে ভর্তি-প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে শিগগিরই। ভর্তি-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়: www.ewubd.edu
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: www.aiub.edu
আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: www.aust.edu
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়: www.bracuniversity.ac.bd
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: www.iub.edu.bd
ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগং: www.ustc.edu.bd
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়: www.northsouth.edu
এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়: www.uap-bd.edu
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি: www.iub.edu.bd
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়: www.daffodilvarsity.edu.bd

Naval Architecture & Marriane Engineering

ন্যাভাল আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং 
(নৌযান ও নৌযন্ত্র প্রকৌশল)
রোমাঞ্চকর কাজ ও জীবনযাপনের প্রতি তরুণদের স্বভাবতই রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। নগরের যান্ত্রিক জীবন ছেড়ে একটু জীবনের অন্য রকম ছোঁয়া পেতে অনেকেই পাড়ি জমান সাগরে, কেউ কেউ জাহাজে জাহাজে ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেন।
রোমাঞ্চকর এমন কিছুই যদি পেশা বা ক্যারিয়ার হয়ে ওঠে, তাহলে তো আর কথাই নেই। ন্যাভাল আর্কিটেকচার ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং (নৌযান ও নৌযন্ত্র প্রকৌশল) সাগরের নীল রাজ্যেই ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুযোগ করে দিতে পারে তরুণদের। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ১৯৭১ সাল থেকে নৌযান ও নৌযন্ত্র বিভাগে উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়। দু বছর আগে, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের আওতাধীন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) নৌযান ও নৌযন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ চালু করা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন সায়েন্সে বিএসসি (সম্মান) ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ভর্তি-সংক্রান্ত তথ্য জানতে নিম্নোক্ত ওয়েবসাইটগুলোয় খোঁজ নেওয়া যেতে পারে: 

বুয়েট: www.buet.ac.bd
এমআইএসটি: www.mist.ac.bd
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: www.cu.ac.bd

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ও মেরিন ফিশারিজ একাডেমি
চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এইচএসসি বা ও-লেভেল ডিগ্রি লাভের পর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে ৩০০ জন শিক্ষার্থী আবাসিক ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার ক্যাডেটের জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি। ১৯৮৯ সালে এটি সুইডেনের ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শাখার মর্যাদা লাভ করে।
বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমিও চট্টগ্রামে অবস্থিত। এটি শিক্ষার্থীদের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন ফিশারিজের ওপর বিএসসি ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। নির্দিষ্ট ভর্তি পরীক্ষাপদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিবছর ক্যাডেট হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়। ভর্তি-সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে ওয়েবসাইটে:
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম: www.macademy.gov.bd
বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, চট্টগ্রাম:
www.mofl-mfabd.org

প্রাইভেট মেরিটাইম একাডেমি ও কলেজ
এ ছাড়া ইউনাইটেড মেরিটাইম একাডেমি, কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজ, ওয়েস্টার্ন মেরিটাইম একাডেমি,
ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমি, শাহ মেরিন বিজনেস ইনস্টিটিউট প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রয়েছে।
ইউনাইটেড মেরিটাইম একাডেমি: www.uma.edu.bd
কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজ: www.cmcollege.com
ওয়েস্ট ওয়ে মেরিটাইম একাডেমি: www.wmabd.com
ওয়েস্টার্ন মেরিটাইম একাডেমি: www.wma-bd.com
শাহ মেরিন বিজনেস ইনস্টিটিউট: shahmbi.com
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি: www.bimtbd.com
ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমি: www.ima-maritime.com

কেন পড়বেন
নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং নৌযানের স্থাপত্যশৈলী, নির্মাণকৌশল, সব ধরনের নৌযন্ত্রের গঠন, ক্রিয়াকৌশল ও নৌপথের সব খুঁটিনাটি দিক নিয়েই কাজ করে। বাংলাদেশের তরুণদের জন্য এটি একটি অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র। এ ব্যাপারে কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজের পরিচালক খোরশেদ আলমের কাছ থেকে জানা যায়, জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে ৯০ শতাংশ মালামালই বিশ্ববাণিজ্যে পরিবাহিত হয় জাহাজের মাধ্যমে। দেশে ও বিদেশে তাই এ বিষয়ে কাজের ক্ষেত্র অত্যন্ত বিস্তৃত। শিপবিল্ডিং, শিপ রিপেয়ারিং, শিপিং পরিবহনসহ এ খাতে জাতিসংঘ এক হাজার ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো আয় করে থাকে। এর ২ শতাংশও যদি বাংলাদেশ নিয়ে আসে, তাহলে নিঃসন্দেহে দেশীয় অর্থনীতি ও তরুণদের জন্য তা বিরাট সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে।
এ ছাড়া দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ, সেই সঙ্গে সাগরের নীল রাজ্যে রোমাঞ্চকর ও বৈচিত্র্যময় এক ক্যারিয়ারের হাতছানিতে তরুণদের কাছে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার গড়ার পছন্দনীয় ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি।